পলিটেকনিক কোর্স কি | যোগ্যতা, খরচ, কাজের সুবিধা 2025 | Free Tips

Updated On:
পলিটেকনিক কোর্স

বন্ধুরা, আজকের ব্লগে পলিটেকনিক কোর্স কি, কাদের জন্য উপযুক্ত, কিভাবে ভর্তি হতে হয়, পড়াশোনার মোট খরচ, পলিটেকনিকে পড়ার সুবিধা যেমন কম খরচে চাকরির সুযোগ এবং বিভিন্ন ধরনের কোর্সের সম্পূর্ণ তালিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সব কিছু একেবারে এক জায়গায়!

পলিটেকনিক কোর্স কি?

পলিটেকনিক একটি তিন বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং ভিত্তিক কোর্স, যেখানে থিওরি ও প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষার সমন্বয়ে ছাত্রছাত্রীরা দক্ষতা অর্জন করে। কোর্স শেষে ডিপ্লোমা ডিগ্রি পেয়ে তারা সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন চাকরির চেষ্টা করতে পারে অথবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্র্যাজুয়েশন করার সুযোগও থাকে। যেটা ইচ্ছা।

পলিটেকনিক কোর্স কত বছরের?

সাধারণ ভাবে, দেশে পরিচালিত প্রায় সব পলিটেকনিক কোর্সের সময়কাল তিন বছর, যেখানে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পায়।

পলিটেকনিক কোর্সের তালিকা

ক্রমিককোর্সের নাম
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং
অটোমোবাইল

পলিটেকনিকে ভর্তির যোগ্যতা

পলিটেকনিক কোর্সে ভর্তির জন্য প্রার্থীকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অন্তত ৩৫% নম্বর পেতে হবে। এ ছাড়াও এই কোর্সের আবেদনে কোনো নির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই, ফলে যে কোনো বয়সেই এই কোর্সের জন্য আবেদন করা যায়। এক কথায় পলিটেকনিকে ভর্তি হতে মাধ্যমিকে ৩৫% থাকলেই হবে। বয়সের তো কোনো ঝামেলাই নেই!

সরকারি পলিটেকনিক ভর্তির যোগ্যতা

চলুন, স্বপ্নের ক্যাম্পাসে যাওয়ার প্রথম ধাপ। সরকারি পলিটেকনিক কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রথমে JEXPO নামক প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হয়। এই পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের উপর ভিত্তি করে একটি মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়। সেই মেধা তালিকার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পছন্দের কলেজ ও স্ট্রিম বেছে নিতে পারে। প্রতিটি বছরের নির্দিষ্ট সময়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

বেসরকারি পলিটেকনিক ভর্তির যোগ্যতা

চিন্তা নেই! যারা JEXPO এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে চান না বা দিতে পারেন নি, তারা চাইলে বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজে সরাসরি ভর্তি হতে পারবেন। এখানে আলাদা করে কোনো প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না।

JEXPO পরীক্ষা কি?

JEXPO পরীক্ষা মোট ১০০ নম্বরের হয়। এতে কেমিস্ট্রি ও ফিজিক্স থেকে ১০ করে নম্বরের, ম্যাথমেটিক্স থেকে ৪০ নম্বরের, ইংলিশ ও অ্যাপটিটিউড থেকে ২০ করে নম্বরের প্রশ্ন থাকে। সব প্রশ্নই MCQ টাইপ এবং প্রতিটিতে ৪টি করে অপশন থাকে। সব মিলিয়ে MCQ প্রশ্ন। বাংলা বা ইংরেজিতে পরীক্ষা দেওয়া যায় এবং সময় থাকে ২ ঘণ্টা।

পলিটেকনিক ভর্তি পরীক্ষার বিষয় কি কি?

কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স, ম্যাথমেটিক্স, ইংলিশ এবং অ্যাপটিটিউড এই পাঁচটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলে, একাডেমিক এবং প্রতিযোগিতা মূলক উভয় ক্ষেত্রেই এগিয়ে থাকা সম্ভব। ভবিষ্যৎ তোমার অপেক্ষায়!

পলিটেকনিক পড়ার খরচ

সরকারি পলিটেকনিক কলেজে পড়াশোনার জন্য আলাদা করে টিউশন ফি দিতে হয় না। ছাত্রদের কেবল হোস্টেল থাকা ও তিন বেলা খাওয়ার খরচ বহন করতে হয়, যা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী।

বেসরকারি পলিটেকনিক খরচ

বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে পড়াশোনার খরচ সরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেক বেশি। এখানে কোর্স ফি শুরু হয় ৫০,০০০ টাকা থেকে এবং তা ২ লাখ টাকা বা তার বেশি পর্যন্ত হতে পারে, যা কলেজ ও কোর্স অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে।

পলিটেকনিকে পড়ার সুবিধা

পলিটেকনিক ডিপ্লোমা সম্পন্ন করার পর সরকারি খাতে বিদ্যুৎ বিভাগ, ভারতীয় রেলওয়ে, রাইফেল ফ্যাক্টরি, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন সহ আরও বিভিন্ন বিভাগে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরির সুযোগ মেলে। একইসঙ্গে, নামকরা বেসরকারি কোম্পানি ও ইন্ডাস্ট্রিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সহজে চাকরি পাওয়া যায়।

Mock Test For FreeClick Here
Join the Facebook GroupClick Here
Join Telegram ChannelClick Here

Follow Us On

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.